নৌবাহিনীর মাঠে কি কি করানো হয় | মাঠে যাওয়ার আগে ও পরে করনীয় কি

আসসালামু আলাইকুম। আজকের এই আর্টিকেল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাঠ সম্বন্ধে। অর্থাৎ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাঠে কি কি করানো হয়, নৌবাহিনীর মাঠে যাওয়ার আগে ও পরে করনীয় কি, কি ধরনের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ নৌবাহিনী মাঠের সিলেকশন প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও বাড়তি সুযোগ পাবে। এই সকল বিষয়ে নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি।

 

নৌবাহিনীর মাঠে কি কি করানো হয় – মাঠে যাওয়ার আগে ও পরে করনীয় কি

প্রথম ধাপ

মাঠে যাওয়ার আগে করনীয় কি

১ . প্রথম ধাপে কিন্তু মাঠে যাওয়ার পরে নয় বরং মাঠে যাওয়ার আগে থেকেই ১ দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। যেমন : প্রথম ধাপে ১ জন প্রার্থীর করণীয় হচ্ছে,

২ . নৌবাহিনীর মাঠে যাওয়ার ১ দিন আগেই সকল কাগজপত্র গুছিয়ে রাখবেন। বিশেষভাবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত একটি কাগজ ও যেন বাদ না যায়।

৩ . হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হতে হবে, যাত্রাপথে এবং মাঠে পৌঁছনোর পর কোন তাড়াহুড়া যাবে না। কেননা এ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটলে আপনার শরীরে ক্ষত সহ বিভিন্ন কাগজপত্র হারিয়ে যেতে পারে।

তো এই যে বিষয়গুলো এগুলো কিন্তু মাঠে যাওয়ার আগে করণীয় এবং এগুলো মাথায় অবশ্য রাখতে হবে।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাঠে থেকে কি কি কারণে বাদ করা হয় সেগুলো জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। – সেনাবাহিনীর মাঠ থেকে বাদ পড়ার ১০ টি কারণ

 

মাঠে যাওয়ার পরে করনীয় কি

১ . বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হতে হবে। অধিকাংশ বিজ্ঞপ্তিতে সকাল ৮ টার কথা বলা থাকে। অর্থাৎ সকাল ৮ টার মধ্যেই কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।

২ . নৌবাহিনীর মাঠে যাওয়ার পরে শুরুতেই রিক্রুটিং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি ফরম সংগ্রহ করে সেটি নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।

৩ . তারপর লাইনে দাঁড়াতে হবে এবং অবশ্যই বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, কারিগরি খেলাধুলা-এর সকল বিভাগ দেখে নিজ নিজ ক্যাটাগরি লাইনে দাঁড়াতে হবে।

৪ . উপস্থিত রিক্রুট অফিসারদের সকল কমান্ড মনোযোগ সহকারে শুনতে এবং মানতে হবে।

তো এই পযর্ন্ত ছিলো, আমাদের প্রথম ধাপ।

দ্বিতীয় ধাপ

এখন থেকে শুরু হবে আমাদের দ্বিতীয় ধাপ। দ্বিতীয় ধাপে পর্যায়ক্রমে আপনাদের উচ্চতা, ওজন, বুক, শরীরে কোন দাগ রয়েছে কিনা, দুই হাত সোজা আছে কিনা, দুই হাটু একসাথে মিলে যায় কিনা, সেসব বিষয় চেক করা হবে। এই বিষয় গুলোকে বলা হয় প্রাথমিক মেডিকেল। দ্বিতীয় ধাপের পরবর্তী অংশে মানে প্রাথমিক মেডিকেলের পর কর্তৃপক্ষ যদি চায় তাহলে দৌড় প্রতিযোগিতা দেওয়াতে পারে। এসব কিছুই নির্ভর করে রিক্রুট অফিসারদের সিদ্ধান্তের উপর। কর্তৃপক্ষ যদি চায় তাহলে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি সুযোগের ব্যবস্থাও করতে পারে। এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় যারা জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ছাত্র রয়েছে। তাদের জন্য আলাদাভাবে সিলেকশন প্রক্রিয়া করা হয়। মাঠে যাওয়ার আগে ও পরে করনীয় কি ।

তৃতীয় ধাপ

১ . তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে লিখিত পরীক্ষা।

২ . লিখিত পরীক্ষার জন্য কী কী পড়বেন, কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন, সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত আর্টিকেল খুব শীঘ্রই ওয়বসাইটে আপলোড করা হবে যদি আপনারা সে সম্বন্ধে জানতে চান।

৩ . তো লিখিত পরীক্ষার পর পরবর্তীতে আপনারা অনেকটা সময় পাবেন ভাইবা এবং চূড়ান্ত মেডিকেলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে। তাই এই সময় অযথা কোন চিন্তা করবেন না, চিন্তা মুক্ত থাকবেন এবং সময়টা কাজে লাগাবেন।

চতুর্থ ধাপ

চতুর্থ ধাপে শুরুতেই লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে এবং লিখিত পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে চূড়ান্ত মেডিকেলের জন্য সিলেক্ট করা হবে।

সেই চূড়ান্ত মেডিকেলে যারা সিলেক্টেড হবে তাদেরকে মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এই মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে রিক্রুট প্রক্রিয়াটি সমাপ্ত হবে।

এখানে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা, চূড়ান্ত মেডিকেল পরীক্ষা, এগুলা ভিন্ন ভিন্ন তারিখে হতে পারে আবার একই দিনেও কমপ্লিট হতে পারে। এমন হতে পারে ব্লাড টেস্টের জন্য অন্য কোন তারিখ করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য আলাদা একটি তারিখ দেওয়া হয়েছে, এরকম অস্বাভাবিক নয় এরকম হতে পারে। নৌবাহিনীর মাঠে কি কি করানো হয়

প্রিয় আগ্রহী ভাই এবং বোনেরা যদি ভাগ্য ভালো থাকে এবং সবগুলো ধাপ সঠিকভাবে অতিক্রম করতে পারেন, তাহলে ভালো কিছু আশা করতে পারেন। সকলের জন্য রইল অসীম ভালবাসা এবং শুভকামনা।

এই ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাঠে কি কি করানো হয় – মাঠে যাওয়ার আগে ও পরে করনীয় কি । আশা করি আর্টিকেলটি মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Comment