অনলাইন থেকে যদি কোন মোবাইল কিনতে হয় বা অনলাইন কোন শপ বা ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল নিতে হয়, তাহলে কি কি জিনিস দেখে নেয়া উচিত? অনলাইনে মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার। পাশাপাশি অনলাইনে যে ওয়েবসাইট গুলো আছে সেগুলো অরিজিনাল মোবাইল ডেলিভারি করবি কিনা, এবং ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ড ইউজ করে যে মোবাইল কিনবো তার নিরাপত্তা কতটুকু? অনলাইন থেকে অথবা কোন ওয়েবসাইট থেকে আমাকে কোন মোবাইল কিনি তাহলে ওই ওয়েবসাইটের কি কি জিনিস দেখে নেয়া উচিত?
অনলাইনে মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার 2022
আপনি একটি ওয়েব সাইট থেকে যদি কোন পন্য অর্ডার করতে চান তাহলে যে বিষয়গুলো অবশ্যই আপনি যাচাই করবেন :
১ . আপনি যে অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট কিনবেন সে কিন্তু ওয়েবসাইট টি কতটা নামি দামি। ধরুন : দারাজ থেকে আপনি কোন পণ্য কিনলেন। যেখান থেকে কিনবেন সেই ওয়েবসাইট টির এড্রেস আছে কিনা বা কোন ঠিকানা আছে কি না সেটি তাদের কন্টাক আস সেকশনে গিয়ে চেক করে নিবেন।।
যদি থাকে তাহলে আপনার জন্য সিকিউরিটি একটু বেশি থাকে। কারণ কোন প্রোডাক্ট কিনার পর কোন সমস্যা হয় তাহলে সেই এড্রেস গিয়ে যোগাযোগ করলে আপনার সমস্যা সমাধান পেয়ে যাবেন। কিন্তু যদি দেখেন কোন ওয়েবসাইটের এড্রেস বা ঠিকানা দেয়া নেই তাইলে সেটি থেকে অর্ডার না করাই ভালো।
২ . আপনি যখন কোন ওয়েবসাইট থেকে কোন পণ্য অর্ডার দিবেন, তখন সেই ওয়েবসাইটের লিংকের পাশে (উপরে দেয়া ছবির মতো) তালা চিন্হ আছে কিনা সেটি চ্যাক করে নিবেন। কারণ এটিকে বলা হয় এসএসএল। এলএসএল যুক্ত ওয়েবসাইট গুলো আপনার সকল ইনফরমেশন নিরাপদ রাখে। এই এসএসএল যে ওয়েবসাইটে না থাকে সে ওয়েবসাইটে আপনারা কখনো নিজেদের পারসোনাল ইনফরমেশন দিবেন না। এতে আপনাদের ক্ষতি হতে পারে এবং এই এসএসএল সে সব সাইটে থাকবে না সেসব সাইট দিয়ে অর্ডার বা ক্রেডিট কার্ড যুক্ত করবেন না। তাই অনলাইনে অর্ডার করার আগে অবশ্যই এই জিনিসটি লক্ষ রাখবেন।
আরও পড়ুন : ইমু একাউন্টে ফ্রেন্ড এড করার নিয়ম – জানতে হলে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ুন। }
৩ . আপনি কোন অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কিছু অডার করার আগে সেটির সমন্ধে কাস্টমার কেয়ারে কল দিয়ে বিস্তারিত জানুন। ফোন বা যেকোন পণ্যে কিনার আগে কলে করে সেটির ওয়ারেন্টি কত দিনের, কিভাবে সেটা ইউস করলে বেশিদিন টিকবে, কি কি জিনিস করলে ওয়ারেন্টি নস্ট হয়ে যাবে এসব সংক্রান্ত তথ্য গুলো জেনে নিবেন এবং কলে কথা বলার সময় আপনি কলটি রেকর্ড করে নিবেন। কারণ কিনার আগে সুবিধার কথা বলে বিক্রি করে, পরে যদি পাল্টি খায় তখন আপনার এই কল রেকর্ড টি প্রমাণ হিসেবে দাড়াবে।
৪ . ধরুন : আপনি একটি অনলাইন থেকে মোবাইল বা অন্য কোন একটি প্রডাক্ট কিনে আনলেন। কিন্তু বাসায় এসে আন বক্সিং করবেন ক্যামেরার সামনে বসে। মানে আনবক্স করার মুহূর্তে অন্য কোন ফোন বা অন্য একটি ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ড করতে থাকবেন। এই ভিডিও রেকর্ডের সুবিধা বলতে : যদি আনবক্স করার পরে দেখেন সেই প্রডাক্ট টি ভাংগা বা ফাটা তখন অথবা নস্ট হয়ে থাকে , বা একটি প্রডাক্ট চেয়েছেন কিন্তু আপনাকে ডিলেভারি দিছে অন্য প্রডাক্ট, এরকম কিছু হলে আপনি আপনার রেকর্ড করা ভিডিও তাদের সামনে দিলে তারা সমাধান করে দিবে।
কারণ অনেক সময় এরকম ভুল অনেক অনলাইন কম্পানি করে থাকে আর ক্রেতারা সমস্যার কথা বলে ফেরত দিতে বা চেন্জ করতে আসে তখন সেটি ভুয়া বলে অনলাইন কম্পানিগুলো। তাই এই ভিডিও আপনারা তাদের সামনে দিলে অস্বীকার করতে পারবেন না।
তো ভিউয়াস অনলাইনে মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার এই ৪ কাজ করলে অনলাইন থেকে আপনি নিশ্চিন্তে যেকোন প্রডাক্ট অর্ডার দিতে পারেন। কোন ধোকাবাজি বা আসল নকল দিবে কিনা এরকম সমস্যা বা দুর্চিন্তায় আর থাকবেন না। অতএব, অডারের আগে অবশ্যই এই ৪ টি কাজ করবেন।